Advertisement |
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হিরো আলম ও তাঁর শ্বশুর সাইফুল ইসলাম থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছিলেন। বুধবার রাতে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সাইফুল ইসলামের অভিযোগটি নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করে হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, হিরো আলমের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে আহত তাঁর স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমিকে (২৪) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শ্বশুর সাইফুল ইসলাম বুধবার বিকেলে হিরো আলমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
তবে পুলিশ বলছে, এক দিন আগেই মঙ্গলবার শ্বশুর সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও পাঁচ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় আলাদা লিখিত অভিযোগ করেছেন হিরো আলম।
বগুড়ার সদর উপজেলার এরুলিয়া শাহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের থানায় করা অভিযোগে বলা হয়, তাঁর জামাই হিরো আলম অনেক দিন থেকেই মেয়ে সাদিয়া বেগম ওরফে সুমির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর তাঁর মেয়ের মাধ্যমে জামাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন। কিন্তু ৫ মার্চ দুপুরে হিরো আলম আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁর মেয়েকে মারধর করা হয়।
এদিকে হিরো আলম থানায় করা অভিযোগে বলেন, ৫ মার্চ রাত আটটার দিকে স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। এর জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর সদর উপজেলার আরজি পলিবাড়ি গ্রামের বাড়িতে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করেন। একই সঙ্গে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। শোকেসের ড্রয়ার থেকে পাঁচ লাখ টাকা, দুটি মুঠোফোন নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় তাঁরা ঘরের বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করেন এবং হত্যারও হুমকি দেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
0 Comments: